বর্তমান অতি ব্যস্ত জীবনে মানসিক অস্থিরতা খুবই স্বাভাবিক। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা কঠিনা। সচেতন কিছু প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা মানসিক অস্থিরতা সহজেই কমাতে পারি এবং দৈনন্দিন জীবন আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলতে পারি।
১. মেডিটেশন অনুশীলন করুন:
অস্থির মনকে শান্ত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মেডিটেসন। প্রতিদিন মাত্র ১০–১৫ মিনিট নিয়মিত মেডিটেসন করলে মানসিক চাপ কমে এবং মনের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
২. নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন:
অনিয়মিত ঘুম, খাবার এবং কাজের সময়সূচি মানসিক অস্থিরতা বাড়ায়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও উঠা, সুষম খাবার খাওয়া, রুটিন মমাফিক কাজ ও বিশ্রাম মস্তিষ্ককে নিরাপদ বোধ করায় এবং মানসিক অস্থিরতা কমায়।
৩. অতিরিক্ত চিন্তা ও ডিজিটাল বিভ্রান্তি কমান:
সোশ্যাল মিডিয়া, খবর আর নোটিফিকেশনের অবিরাম চাপ মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত করে। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনুন।এটি মানসিক বোঝা হালকা করে।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও সক্রিয় থাকুন:
ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও জরুরি। ব্যায়ামের ফলে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো করে এবং দুশ্চিন্তা কমায়। প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিট হাঁটাও মানসিক স্থিতি আনতে সাহায্য করতে পারে।
৫. গভীর শ্বাস নেওয়া ও রিলাক্সেশন টেকনিক অনুশীলন করুন:
যখনই আপনি অতিরিক্ত চাপে পড়বেন, তখন কয়েকবার গভীর শ্বাস নিন। যেমন—৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ৬–৮ সেকেন্ডে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এই সহজ কৌশল স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং মানসিক অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে।
৬. যেটা নিয়ন্ত্রণে আছে, সেটায় মনোযোগ দিন:
আমাদের আৃযত্বের বাইরের অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তা থেকে মমানসিক অস্থিরতা আসে। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই,তা ননিয়ে চচিন্তা ববাদ দিন। বরং যা করা সম্ভব, সেদিকে মনোযোগ দিন। এতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় ও মানসিক অস্থিরতা কমে।
৭. মানসিক সহায়তা নিন:
কখনো কখনো বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ কারও সাথে কথা বলে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুন
এতে মানসিক চাপ হালকা হয় এবং অস্থিরতা কমে।
শেষ কথা:
মানসিক অস্থিরতা জীবনের স্বাভাবিক অংশ, কিন্তু এটিকে আপনার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখবেন—মানসিক স্থিতিশীলতা একদিনে আসে না। ধৈর্য, নিয়মিত অনুশীলন এবং সচেতন পদক্ষেপ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
No comments:
Post a Comment