মানুষ প্রকৃতিগতভাবে নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশি। শিশুরাও এক্ষেত্রে ব্যতুক্রম নয়। তবে কিছু লক্ষণ শিশুদের বিপথগামীতার আগাম সংকেত দেয়। যেমন-
১. আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন: শিশু যদি হঠাৎ বেশি চুপচাপ, আগ্রাসী, বা বিদ্রোহী হয়ে যায়, তবে এটি একটি সতর্কতার লক্ষণ ।
২. পড়াশোনায় আগ্রহ কমে যাওয়া: স্কুলে খারাপ ফলাফল, পড়াশোনায় উদাসীনতা, বা ক্লাসে অমনোযোগিতা বিপথগামী হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।
৩. বন্ধু বৃত্তের পরিবর্তন: পুরনো বন্ধুদের এড়িয়ে চলা, নতুন বন্ধুদের সাথে মেলামেশা শুরু করা, যাদের সম্পর্কে পরিবার কিছু জানে না।
৪. গোপনীয়তা বৃদ্ধি: শিশু যদি অতিরিক্ত গোপনীয়তা বজায় রাখে, যেমন- ফোন বা ঘরে তালা দেওয়া, তবে এটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে।
৫. **অনিয়মিত সময়সূচী**: রাত জাগা, দেরিতে বাড়ি ফেরা, বা অজানা জায়গায় সময় কাটানো বিপথগামী হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।
৬. **মাদক বা নেশার প্রতি ঝোঁক**: মাদক, অ্যালকোহল, বা ধূমপানের প্রতি আগ্রহ বা এর ব্যবহার শুরু করা একটি গুরুতর লক্ষণ।
৭. পরিবারের সাথে দূরত্ব: পরিবারের সদস্যদের সাথে কম কথা বলা বা বন্ধ করা, তর্কে বাড়ানো, বা সম্পর্কে উদাসীনতা দেখানো।
৮. অসৎ আচরণ: মিথ্যা বলা, অন্যের ক্ষতি কারও জিনিস লুকিয়ে রাখার মতো অসৎ কাজে জড়িত হওয়া।
৯.মানসিক অস্থিরতা: অতিরিক্ত রাগ, উদ্বেগ, হতাশা, বা আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখানো।
১০. অনুশাসনের প্রতি অবহেলা: স্কুল বা বাড়ির নিয়ম-কানুন অমান্য করা, বা কর্তৃপক্ষের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো।
♥পরামর্শ: এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে শিশুর সাথে খোলামেলা কথা বলা উচিৎ। প্রতিটি শিশু ভিন্ন, তাই তাদের আচরণের পেছনের কারণ খুঁজে বের করা জরুরি।
Excilent
ReplyDeleteThanks a lot.
Delete